Thursday, October 29, 2015

অবচেতন মনের চিন্তা ভাবনা গুলো

ক্ষণস্থায়ী এই জীবনে কতকিছুই না মানুষ চিন্তা করে যাবার । কেউ বা আবার মুহূর্তের মাঝে ভুলে যায় তার অবচেতন মনের চিন্তা ভাবনা গুলো। আমিও অনেক কিছু ভাবি , চিন্তা করি খুব আগ্রহের সাথে , সময়ের স্রোতের সাথে হয়তো সব কিছু মনেও থাকে না । তাই মাঝে মাঝে লিখে রাখি আমার মত নগ্নন্য মানুষের এই ব্লগে । হয়ত আমার কোন শুভাকাঙ্ক্ষী না হয় প্রিয় শত্রু দেখবে আমার এলোমেলো ভাবনা গুলো । অনেক কিছু বলতে চাই তোমাদের কিন্তু জীবনের বেরাজাল থেকে বেরিয়ে বলা হয়ে উঠেনা কখনো । আমি তোমাদের সাথে সেই পুরোনো নিড়ে ফিরে যেতে চাই। আমাকে দিবে না থাকতে তোমাদের সাথে ।
(চলবে )

আমি আর আমার স্বদেশ ভ্রমন ২০১৫

এইবার দেশ থেকে ঘুরে আসার পর থেকেই কেন জানি প্রবাস জীবনটা বদলে যেতে শুরু করেছে । সব কিছু মন দিয়ে করতে পারছি কোন কিছুতেই আলসেমি ধরছেনা । যটফট সব কাজের ইতিটানতে কোন কষ্টই হচ্ছেনা । তেমন কোন নস্টালজিকতা ভোগছি না । কেন এমন হচ্ছে তার সুত্র খুজতেই এই লিখতে বসা ।
প্রথমে মনে হচ্ছিল অনেক দোটানায় মনে হয় মন এবার স্থিরতায় ঠাই নিতে চাচ্ছে। তারপর মনে হল কাজের চাপে মনে হয় এমন হচ্ছে । আসল কারনটা বুঝে উঠতে সময় নিল একটু এই আরকি ।
মুল কথা হচ্ছে ৬ বছর আছে আমার দেশ এখন আর আমার সপ্নের দেশ নেই , প্রাশ্চাত্তের সংস্কৃতে মিলে মিশে একাবার হয়ে গেছে অনেকটুকু । তাই আমার পাগল মন বুঝতেই পারেনি আমি আর তার স্বদেশ ভ্রমনের কথা। একি ধাঁচের উন্নত জীবনকে সে আপন করে নিতে শুরু করেছে । দেশ উন্নত হয়েছে অনেকটুকু এতে বিন্দু মাত্র সন্দেহ নেই আমার কিন্তু অগুছালো হয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি । সময়ের সাথে সাথে সব গুছানো হয়ে যাবে । আমাদের জাতি হিসেবে অস্থিরতা কাটিয়ে দেশকে উন্নত হতে স্থিরভাবে সাহায্য করে যেতে হবে । কোন দেশই রাতারাতি উন্নতির শিখরে উঠে যায়নি। আমি যেমনটা সপ্ন দেখা ছাড়িনি আমার সপ্নের দেশের আপ্নারাও দেখতে থাকুন।

বাস্তবতার রঙ্গমঞ্চে

অনেক হতাশা আকাশে বাতাসে ,
আমি , তুমি খুদ্ধ এই সমাজের যান্ত্রিকতায় ।
সব কিছুর পরেও সময়ের সন্ধিক্ষণে এসে অবলীলায় হাঁসতে হয় ,
বুঝেও না বুঝার ভাব খানা সামনে রেখে ।
আমাদের বাস্তবতার রঙ্গমঞ্চে ………………।

পারি দিতে হবে বহুদুর

আই এম সরি টু সে ……কুকুর কামড়ালে যে কুকুরকে ফিরত কামড় দিতে হয়না এই কথাটা আমরা ভুলে গেছি। কিছুদিন আগে যে মওকা মওকা ভিডিও নিয়ে অনেক লাফালাফি করলাম এখন আমরা নিজেরাও তো একি ধরনের একটি ভিডিও বানিয়ে ফেললাম। আর আমাদের করপোরেট কুমিরদের বলছি মানুষের নিভেটিভ ইমোশন নিয়ে মার্কেটিং করে বেশিদিন মার্কেটে টিকে থাকতে পারবেন না। থিঙ্ক পজেটভ এন্ড ডু পজেজিভ মার্কেটিং । এমন কিছু বানান যেন প্রোডাক্ট লাইফ সাইকেল শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও আপনাদের ব্র্যান্ড ইমেজ বলিয়ান থাকে। অন্যের খারাপ দিক না ঘেঁটে নিজেদের ভাল কিছু করায় উদ্ভুক্ত করুন । আমাদের এখনো অনেক দূর পারি দিতে হবে । দেশে অনেক ভাল ভাল কাজ হচ্ছে । আরো ভাল অনেক কিছু হওয়া সম্ভব । ‪

ভাল কিছু করার দুঃস্বপ্ন

ভাল কাজকে আমি দুঃস্বপ্নই বলছি । আজ কেও ভাল কিছুতে এগোতে চায় না । নেই কারো উপর কারো আস্থা । হবে না হবে কিচ্ছু হবে না এদেশে কিচ্ছু হবে না। চারিদিকে করাপশন আর বিশৃঙ্খলটা কেও কোন কিছু মানতে চায় না। হতাশ আমরা সবাই হতাশ। হতাশার মরীচিকায় হারিয়ে যাচ্ছি আমি ,তুমি  আর আপনারা সবাই । এতোক্ষনে নিশ্চয়ই চিন্তা করছেন হতাশার নগরীতে এ আবার কে এলো হতাশার গুপ্তধন বিলাতে। না উপরের কোন চিন্তাধারাতেই আমি বিশ্বাসী না । কথা গুলো আমার ভাষায় অন্যের মনের ভাবের বহিঃপ্রকাশ মাত্র। জীবনে হতাশ হওয়ার সুযোগ আসলে অনেক কম – ওকে বুঝিয়ে বলি,
জীবন কিন্তু আমাদের সাধারন গতিতেই চলে হাসি ,কান্না ,আনন্দ আর কষ্টকে সাথে নিয়ে। যখনি আমরা কোন বিষয়ে আশা হত হই অথবা ফলাফল আসেনা আমাদের মনের মত , হয়ে যাই হতাশ। মানুষের জীবনে সুখ দুঃখের একটা সামঞ্জস্য আছে বলেই সমাজ ব্যবস্থা এখনো টিকে আছে। আপনি আমি বেঁচে আছি । যারা এই সমাজের জন্য অনেক কিছু করতে পারে তাদের উচিত এই হতাশা নামক ব্যধি থেকে সর্বপ্রথম নিজেকে ঠিক করা। তাদের এই বিরুপ চিন্তা ধারার জন্যই  আমাদের সমাজ ব্যবস্থা এবং যুগসমাজ হতাশা নামক শেষ না হওয়া রাস্তায় হারিয়ে যাচ্ছে। আসুন নিজে হতাশা থেকে দূরে থাকি অন্যকে সাহায্য না করতে না পারলে অন্তত হতাশ নামক ছোয়াছে রোগে আক্রান্ত না করি । (চলবে)

সংজ্ঞায়িত করন :২

আজ একটু সুচনা টানি , আমি কোন লেখক অথবা বিজ্ঞ মানুষ না । আমার লেখায় অনেক ভুল সবার দৃষ্টিকটূ হবে এটা অনেক স্বাভাবিক । আমার ডায়রি লেখা আর টুকি টাকি কাগজ কলমে কাটাকাটি ছাড়া তেমন কোন অভিজ্ঞতাও নাই । তাও আমার এই ছোট্ট জীবনের ছোট্ট চড়াই উতরাই থেকে অরজিত নিজের অভিজ্ঞতা গুলো একত্রিত করে ধরে রাখতে চাই।
এখন আসা যাক মুল বিষয়ে , শুরু করা যাক কিন্ডার গারটেন নামক চিড়িয়া খানা থেকে – কি হয় অই খানে আগে তা তুলে নেয়া যাক , বাচ্চাদের উজনের চেয়ে বেশি উজনের বই তুলে দেয়া হয় ওদের কাঁধে, জীবনের শুরুতেই এই কোমল মতি শিশুদের গড়ে তোলা হয় সমাজের ভুল ভাল চিত্র দিয়ে । একজন মধ্যবিত্ত পরিবার কখনই পারে না সো কল্ড হাই ক্লাস ভাল মানের কিন্ডার গারটেনে তার শিশুটিকে দিতে । চেষ্টার কমতি থাকে না অনেক কষ্টে যারা জয়ই হয় এই যুদ্ধে তারাই আসলে ভবিষ্যৎ বড় ভুলের আগ্রাসনে পরেন । আর এই ভুলের সংখ্যা কমেছে না বরং বাড়ছে। আর ভুলের পথে যাচ্ছে সবচেয়ে বেশীএই ভুল সমাজে বেড়ে উঠা শিশুরা । (চলবে )

সোনার বাংলা ১

এসো শক্ত হাতে ধরি লাগাম ,
যেন উথাল না হয় তরী ।
গতি যেন কম না হয় মাঝি ,
অসীম পথ দিতে হবে পারি ।
লক্ষ্য মোদের সোনার বাংলা
গরে তুলব আমি ,তুমি ,আমরা ,
লক্ষ্য যেন না হয় ভ্রষ্ট ।
এই বাংলার সোনার ছেলেরা ।

আমি আমি নাই

কিছু বলার ছিল
বলি বলে হলো না বলা
কিছু নাই , তুমি নাই
আমি আমি নাই ।
কোথায় পালিয়ে যাই
তথা , ঘুরিয়ে পালাই
সেথা ছিল মোর জীবনও শুধা
আমি আমি নাই ।
সেই আমি আমি নাই বলে ,
তুমি আছো সেই ,
বাস্তবতার ভেরা জালে
আসল তোমাকে চাই ।
চল এবার ওপারে পালাই
সেথা তুমি ছাড়া আর কেহ নাই ।

বিশ্বাস তুমি

বিশ্বাস তুমি আছো ,
না তো আমি তো অনেক আগেই মিলিয়ে গেছি
কি বল ? তাহলে যে লোকে বলে ,
কি বলে?
বিশ্বাসে ভালবাসা , বিশ্বাসে বন্ধুত্ত ।
হাহাহাহাহহাহাহাহা সে তো অনেক কালের কথা,
এই জনমের কটু কথা ।
না না না , তা কি করে হয় !
আমি তোমাতেই প্রান পাই ।
তোমাতেই জীবনের সুধা পাই ।
বিশ্বাস তুমি ছিলে , তুমি আছো , তুমি থাকবে।
তোমাতেই ভালবাসা , বন্ধুত্ত বেঁচে রবে।

সংজ্ঞায়িত করন :১

কী করছি কি করব , জীবনের এই ধারা গুলো কখনো সংজ্ঞায়িত করা সম্ভব নয় । পুতিগত ভাবে যতোই জীবনকে নকশী করন করা হোকনা কেন , জীবন চলবে তার আপন গতিতেই । আমরা শুধু পারি জীবন গতির লাগাম ধরে রাখতে। আর আমরা এই লাগাম ধরা লব্দ করতেই কাটিয়ে দেই এই জীবনের বেশিরভাগ । তারপর পুতিগত শিক্ষা আর বাস্তব কর্মকাণ্ডে যখন দেখি বিস্তর ফারাক , ধাক্কাটা লাগে তখন । হাইরে জীবন কি শিখাইলা আর কিই না করতে হচ্ছে এখন । আর সেই বাস্তবতার স্বাদ রপ্ত করতে করতে শেষ হয়ে যায় আরো অনেকটা সময় । তাই আমাদের উচিত এখনই বুঝে ফেলা জীবনে শিখার কখনও শেষ হবে না । তাই আমাদের কে যে করেই হোক বেরিয়ে আসতে হবে এই আদি চিন্তা চক্র থেকে। ( চলবে )